নবম শ্রেণীর ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৬ | Class 9 Geography Model Activity Task Part 6
১.১ অক্ষরেখার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো
Ans- অক্ষরেখা গুলি পরস্পর সমান্তরাল১.২ .বিদার অগ্ন্যুদগম এর মাধ্যমে সৃষ্ট ভূমিরূপ হল
Ans লাভা মালভূমি১.৩ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন কর
Ans - কালিম্পং জেলা সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থান
২. শূন্যস্থান পূরণ করো
২.১ যাকে মা রেখা গুলি নিরক্ষ রেখাকে 90 ডিগ্রী কোণে ছেদ করেছে ।
২.২ আবহবিকার প্রাপ্ত শিলা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে মূল শিলার উপরে যে শিথিল আবরণ তৈরি করে তাকে রেগোলিথ বলে
২.৩ দার্জিলিং জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি অনিত্যবহ নদী হলো মহানন্দ
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও
এই সকল প্রাণীরা শিলাস্তরে এবং শিথিল পদার্থের মধ্যে গর্ত গুহা তৈরি করে । উইপোকা মাটি খুঁড়ে ভূপৃষ্ঠের নিচের স্তরে মাটি ও শিলা ভূপৃষ্ঠের উপরের স্তরে নিয়ে আসে শিলার আবহবিকার এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় মাটিতে বসবাসকারী প্রাণী রাজাদের নিঃশ্বাসের সাথে যে co2 ত্যাগ করে মাটির অভ্যন্তরস্থ শিলা ও মাটির প্রকৃতি পরিবর্তন ঘটিয়ে মৃত্তিকার আবহবিকার ঘটে মানুষ কৃষিকাজ রাস্তাঘাট নির্মাণ কাজের মাধ্যমে দ্রুত শিলার আবহবিকার ঘটাতে সাহায্য করে ।
বেশিরভাগ সময় এর উপর দিয়ে বড় বড় নদী প্রবাহিত হয়েছে তাই পানীয় জল সেচের জলের অন্যান্য কাজের জন্য প্রয়োজনীয় খুবই সুবিধাজনক ।
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও
৩.১.আবহবিকারের প্রাণী দের ভূমিকা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।
মাটিতে বসবাসকারী বিভিন্ন প্রাণী যেমন ইদুর ,বিড়াল ,খরগোশ উইপোকা , বিভিন্ন মুসিক জাতীয় প্রাণী শিলাস্তরের মধ্যে গর্ত খুঁড়ে জৈবিক যান্ত্রিক আবহবিকার এর সাহায্য করে !এই সকল প্রাণীরা শিলাস্তরে এবং শিথিল পদার্থের মধ্যে গর্ত গুহা তৈরি করে । উইপোকা মাটি খুঁড়ে ভূপৃষ্ঠের নিচের স্তরে মাটি ও শিলা ভূপৃষ্ঠের উপরের স্তরে নিয়ে আসে শিলার আবহবিকার এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় মাটিতে বসবাসকারী প্রাণী রাজাদের নিঃশ্বাসের সাথে যে co2 ত্যাগ করে মাটির অভ্যন্তরস্থ শিলা ও মাটির প্রকৃতি পরিবর্তন ঘটিয়ে মৃত্তিকার আবহবিকার ঘটে মানুষ কৃষিকাজ রাস্তাঘাট নির্মাণ কাজের মাধ্যমে দ্রুত শিলার আবহবিকার ঘটাতে সাহায্য করে ।
৩.২. পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সমভূমি অঞ্চলে বসবাস করেন ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করো .
জলের যোগান-বেশিরভাগ সময় এর উপর দিয়ে বড় বড় নদী প্রবাহিত হয়েছে তাই পানীয় জল সেচের জলের অন্যান্য কাজের জন্য প্রয়োজনীয় খুবই সুবিধাজনক ।
উর্বর মৃত্তিকা- উর্বর মৃত্তিকা সমতলভূমি উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে ওঠে বলে সমভূমি অঞ্চলের কৃষি ও শিল্পের কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি
সমতল ভুবন-সমতল ভূভাগ হওয়ায় সংগীতে জনবসতি গড়ে তোলার একাধিক পরিকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকে ।
৪. পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু কিভাবে মৌসুমী বায়ু দ্বারা প্রবাহিত হয় ?
পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে দুটি ভিন্ন ধর্মী মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হয় ।গৃষ্ম কালীন আদ্র দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু
এবং শীতকালীন উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ু ।
পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু অনেকাংশেই এই দুই মৌসুমী বায়ু দ্বারা প্রবাহিত হয় যেমন -
a. দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এবং উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ুর আগমন এবং প্রত্যাগমন অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুতে চারটি ঋতুতে ভাগ করা হয় দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু গৃষ্ম কাল
দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমনকাল ।
সাক্ষ্যম পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাবর্তন কাল বা শরৎকাল।
উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ুর আগমন কাল বা শীতকাল।
b. কেবল ঋতু বিভাজনই নয় পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু ঋতুকালীন বৈশিষ্ট্য মৌসুমী বায়ুর উপর নির্ভরশীল।
c. ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ু উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রবাহিত হয় এইভাবে পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা অনেক কমে যায় এজন্য এই সময়টি শীতকাল বলে ।
d. ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিক থেকে উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ু পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদায় নেয় এবং জুন মাসে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন ঘটে এই দুই বায়ুর আসা-যাওয়ার মধ্যবর্তী সময় কালে মার্চ মাস থেকে মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের উষ্ণতা যথেষ্ট বৃদ্ধি পায় এই জন্যই সময়টিকে গৃষ্ম কাল বলে ।
e. জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও আর্দ্র বলে সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বৃষ্টিপাত হয় এইজন্য বছরের এই চার চার মাস কে বর্ষাকাল বলে ।
f. অক্টোবর-নভেম্বর মাসে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাবর্তন করে বলে আকাশ মেঘলা মুক্ত থাকে তা ক্রমশ কমতে থাকে এই সময়টাকে বলে শরৎকাল ।